প্রকাশিত: Thu, Mar 2, 2023 5:36 PM
আপডেট: Wed, Jun 18, 2025 12:22 AM

বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ কবে দেশে ফিরবেন, রায়ের কপি পাওয়ার পর জানা যাবে

মাছুম বিল্লাহ: ভারতের আদালতে বেকসুর খালাস পাওয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ কবে এবং কিভাবে দেশে ফিরবেন তা জানা যাবে আদালতের রায়ের সার্টিফাইড কপি পাওয়ার পর। বৃহস্পতিবার দেশের ফেরার প্রক্রিয়া সম্পর্কে সালাহউদ্দিন আহমেদ আমাদের নতুন সময়কে এ কথা বলেন। 

তিনি জানান, ভারত সরকারের উপরই আমার দেশে ফেরা নির্ভর করছে। পারলে এখনই নিজ জন্মভূমিতে ফিরতে চাই। কিন্তু কিছু পদ্ধতি আছে। 

অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতের মেঘালয়ে আটক হওয়া এবং দীর্ঘ আট বছর চলা মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। পাশাপাশি শিলংয়ের আদালত ভারত সরকারকে তাকে দেশে ফেরত পাঠানো সংক্রান্ত নির্দেশনাও দিয়েছেন।

সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, আমি অত্যন্ত আনন্দিত। দেরিতে হলেও আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি। খালাস সংক্রান্ত রায়ে ভারত সরকারকে মহামান্য আদালত নির্দেশনা দিয়ে বলেছেন, আমাকে যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করার জন্য। তাই ভারত সরকার যখন নির্ধারিত পদ্ধতি শেষ করে আমাকে ফেরত পাঠাবে তখনই যেতে পারবো। এর অন্যথা হবে না। 

রায় সর্ম্পকে তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ২৬শে অক্টোবর শিলংয়ের নিম্ন আদালতে আমি খালাস পেয়েছিলাম। কিন্তু ভারতের মেঘালয় রাজ্য সরকার আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করে। গত মঙ্গলবার স্থানীয় আদালত ওই আপিল আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। আদালতের রায়ে আমাকে বেকসুর খালাস দিয়ে দ্রুত দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দিয়েছেন। 

এদিকে বিএনপির এই নেতার দেশে ফেরা নিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এক প্রতিক্রিয়ায় বুধবার বলেছেন, সালাহউদ্দিন আহমেদের কাছে বৈধ কাগজপত্র থাকলে তিনি দেশে আসতে পারবেন। কিন্তু তিনি তো অপরাধী। এক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ের আলোচনার ভিত্তিতে তাকে দেশে আনতে গেলে পদক্ষেপ নেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এর আগে ২০১৫ সালের ১০ই মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে নিখোঁজ হন সালাহউদ্দিন আহমদ। নিখোঁজের ৬৩ দিন পর একই বছরের ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তাঁকে উদ্ধারের পর সেখানকার একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করে। এর পরদিন তাঁকে শিলং সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী ২০১৫ সালের ১১ই মে তাকে গ্রেপ্তার দেখায় মেঘালয় থানা পুলিশ। একই বছরের ২২শে জুলাই ভারতের নিম্ম আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের দায়ে অভিযোগ গঠন করা হয়। ওই সময় সালাহউদ্দিন আদালতে বলেছিলেন, ২০১৫ সালের মার্চে তাকে ঢাকার উত্তরার বাসা থেকে অপহরণ করা হয়। এর প্রায় দুই মাস পর কে বা কারা তাকে শিলংয়ে ফেলে যায়। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব